#১. সক্রিয় থাকুন মানসিকভাবে
শারীরিক কর্মতৎপরতার মতো মানসিকভাবে কিছু কাজ করার চেষ্টা করুন। দেহে ও মনে চনমনে থাকার পাশাপাশি আপনার স্মরণশক্তিও থাকবে সক্রিয়। যেমন পাজল, সুডোকু বা শব্দ তৈরির খেলা ইত্যাদি।
#২. সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিন
সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান। সামাজিক যোগাযোগ বলতে ইন্টারনেটে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের কথাই বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু নেট নয়, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন, তাদের বাসায় যান, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিন।
#৩. গোছালো হোন
বাসায় হোক বা কর্মক্ষেত্রে জিনিসপত্র অগোছালো অবস্থায় থাকলে কোনটা কোথায় রাখলেন মনে রাখা কষ্টকর হবে আপনার পক্ষে। স্পেশাল নোটবুক, ক্যালেন্ডার বা ইলেকট্রনিক প্ল্যানার ব্যবহার করুন। দরকারি জিনিসপত্র নির্ধারিত স্থানে রাখুন।
#৪. হোক মস্তিষ্কের বিশ্রাম
ঠিকমতো ঘুমান। সারা শরীরের মতো মস্তিষ্ককেও বিশ্রামের সুযোগ এনে দেয় ঘুম। ঘুমের অভাবে স্মৃতিকোষের কাজ ব্যাহত হয়। স্মৃতি বাড়াতে হলে তাই ভালো ঘুম একান্ত প্রয়োজন। ঘুমের অন্যতম প্রতিবন্ধক কম্পিউটার ও টিভি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এগুলো নিয়ে না বসাই ভালো।
#৫. স্বাস্থ্যকর খাবার
স্মৃতিশক্তির সঙ্গে খাদ্যের সম্পর্ক রয়েছে। ফল ও শাকসবজি বেশি করে খান। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে মাছ বেশি খান, মাংস কম খান। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
#৬. প্রতিদিন কায়িক পরিশ্রম
প্রতিদিন এমন কিছু কাজ করুন যাতে শারীরিক পরিশ্রম হয়। দৈহিক অঙ্গ সঞ্চালনমূলক কাজ মানুষের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ার পাশাপাশি মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী একজন সবল পূর্ণ বয়স্ক মানুষের সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট অ্যারোবিক্স (হাঁটা, দৌড়ানো ইত্যাদি) করা উচিত। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হলেও এটি করা প্রয়োজন।
#৭. নির্দর্িষ্ট কোনো অবস্থায় স্থায়ী না হওয়া
শরীরের যত্ন নিন। মাঝে মাঝে কর্মক্ষেত্রে ও বাসায় কাজকর্মগুলো একটু অদল-বদল করে করুন। একঘেয়েমি পরিহার করুন। জীবনে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন। আপনার স্মরণশক্তির ওপর এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
0 comments:
Post a Comment